দুই বর্তমান ও এক প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক নিলেন করোনা ভ‍্যাকসিন : শুরু বিতর্ক

16th January 2021 9:00 pm বর্ধমান
দুই বর্তমান ও এক প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক নিলেন করোনা ভ‍্যাকসিন : শুরু বিতর্ক


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  অবসান হল প্রতিক্ষার । সারা দেশের পাশাপাশি শনিবার থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও শুরু হল কোভিড ভ্যাক্সিন  দেওয়া। এদিন জেলার সাতটি কেন্দ্রে থেকে দেওয়া হল  ভ্যাক্সিন ।বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাফাই কর্মী সঞ্জয় মাঝিকে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তাকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার সময়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান ।তবে ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরুর প্রথম দিনেও বিতর্ক এড়াতে পারলো না এই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রথম দফায় ভ্যাক্সিন পাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও জেলার ভাতার ও কাটোয়ার বিধায়কের এদিন ভ্যাক্সিন  নেওয়া নিয়ে চুড়ান্ত বিতর্ক তৈরি হয়েছে ।যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা ।  দুই বিধায়ককে ভ্যাক্সিন টিকাকরণ নিয়ে  যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার  সাফাইও এদিন  দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব  রায়। এদিন ভাতারের বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা ও কাটোয়ার  বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় টিকা নেন ।পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদীও এই টিকা নিয়েছেন ।জানা গেছে ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের দলনেতা বাসুদেব যশও এদিন টিকা নেন।তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। বর্তমান ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরা কোভিড ওয়ারিয়র কী না ,বা তারা ভ্যাক্সিন পেতে পারেন কী না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে ।এবিষয়ে  সি এম ও এইচ প্রণব রায় জানিয়েছেন,
,“ওনারা  প্রত্যেকেই কোনো না কোনো হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। হাসপাতালের সুখে দুঃখে তাঁদের অংশগ্রহন  থাকে। তাই ওনারা  ভ্যাক্সিন পেতেই পারেন। “  যদিও ভাতার ও কাটোয়ার বর্তমান বিধায়ক ও ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক প্রথম দিন টিকা নেওয়া নিয়ে বিতর্কের কিছু দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন । তাঁদের বক্তব্য বিরোধীরা উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে বিতর্ক তৈরি করছে ।  ভাতার বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা বলেন ,‘এদিন  আমি করোনার টিকা নিলাম। করোনা নিয়ে সরকার যে  সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলেছে তা সবাইকে মেনে চলার উপদেশ দেন প্রাক্তন বিধায়ক ।’ভাতারের বর্তমান বিধায়ক টিকা নেওয়ার পর বলেন ,‘এদিন আমিও করোনার টিকা নিলাম।  কোন রকম অসুবিধা হয়নি ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  সকলকে বিনা পয়সায় করোনার টিকা দেবার কথা ঘোষণা করেছেন।’ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও একই সাফাই দিয়েছেন । বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী  এই প্রসঙ্গে বলেন,এই রাজত্বে শাসক দলের নেতা , মন্ত্রী ও বিধায়করা সব বিষয়ে ক্ষমতা ভোগ করতে অতি উৎসাহি । কোভিড ভ্যাক্সিন পাবার ক্ষেত্রেও তারা যে একই ভূমিকা নেবেন সেটাই স্বাভাবিক । এদিন সেটাই হয়েছে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।